শিরোনাম
ঈদগাঁও প্রতিনিধি : | ০৬:৩০ পিএম, ২০২২-০২-০৫
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও বাজার সড়ক অল্প বৃষ্টিতেই কর্দমাক্ত হয়ে পড়ার কারণে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব, সড়কের উপর ময়লা-আবর্জনা রাখা, নির্দিষ্ট ডাস্টবিন না থাকাসহ ও পরিচ্ছন্ন কর্মীর অভাব।
তাছাড়াও কিছু অংশে পুরাতন জ্রেনেজ ব্যবস্থা দখল নিয়ে ভরাট করে ফুটপাত ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে । পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে ঈদগাঁও বাজারের বিভিন্ন সড়কের পয়েন্টে পয়েন্টে পানি জমাট হয়ে কর্দমাক্ত হয়ে পড়ছে। ঈদগাঁও বাজারের সড়কে দুঘর্টনা প্রবণ হয়ে উঠছে । বৃষ্টি হলেই দূর্ভোগে পড়তে হয় অর্ধ লাখেরও বেশী জনসাধারণকে
বাজার ব্যবসায়ীরা বলছেন, অল্প বৃষ্টিতেই কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে,ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকে,ফলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ভাল হয় না। যদি পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে অবস্থা আরো খারাপ হয়ে জনদূর্ভোগ চরম পৌঁছে যাবে।
সচেতন মহলের ধারণা ব্যবসায়ীদের অসচেতনতার কারণে বাজারের প্রতিটি গলিতে ময়লা আবর্জনা বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় বৃষ্টি হলে বাজারের রাস্তাগুলো কাদা-মাটিতে সয়লাভ হয়ে ,পরিবেশ দূষণ হচ্ছে।
ঈদগাঁও বাজারের প্রধান সড়ক বাস-স্টেশন থেকে বংকিম বাজার পর্যন্ত আরসিসি ঢালাই দিয়ে নির্মিত হলেও পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে দুর্গন্ধযুক্ত পানি ও কাদামাটিতে সয়লাব হচ্ছে।
এদিকে শাপলা চত্বর থেকে কাপড়ের গলি হয়ে বাশঘাটা ব্রীজ পর্যন্ত পিচ ঢালাই দিয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। অল্প বৃষ্টিতে কিছুটা ভোগান্তি কমলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে ভারি ভর্ষণ হলে হাটু পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। ফলে ঈদগাও বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের যাওয়া মুসল্লীদেরও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এদিকে স্কুল গেইট থেকে মাছ বাজার ও কাঁচা বাজার যাওয়া রাস্তাটি প্রায় অর্ধ ফুট কাদামাটিতে হয়ে যায়। ফলে মাছ বাজার ও কাঁচা বাজারে যাওয়া মানুষের কষ্টের শেষ নেই। বিশেষ করে নারী-শিশু বাজারে আসা কষ্ঠকর হয়ে পড়ছে।
পথচারী নওশাদুল আযম বলছেন বৃষ্টি হলে, ঈদগাঁও বাজার অভিশাপে পরিণত হয়। বাজারে গেলে জামা-কাপড় কর্দমাক্ত হয়ে যায়। ফলে অসহনীয় হয়ে পড়ে বাজারের অবস্থা। ঈদগাঁও বাজার ইজারার মাধ্যমে কোটি টাকার রাজস্ব সরকারি খ্যাতে গেলেও সে পরিমাণ উন্নয়ন বাজারে হচ্ছে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সুনজর কামনা করেন তিনি।
ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক হাসান তারেক বলেন, ইজারার নামে বাজারের রোডে ভাসমান ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টেক্স নিলেও, বাজার ইজারাদার ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ। বাজারের রাস্তা-ঘাট পরিস্কার করার দায়িত্ব বাজার ইজারাদার ও ইউনিয়ন পরিষদের বাজার কমিটির কাজ ব্যবসায়ীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে।
বাজার ইজারাদার রমজান আলি বলেন ,যেসব রোড থেকে ইজারার টাকা আদায় করা হয় সেখানে যদি ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় তবে তা পরিস্কারের জন্যে চেষ্টা করবো। এসব রোডে সংশ্লিষ্টরা সহযোগিতা করলে ডাস্টবিন স্থাপন করা হবে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন ,ঈদগাঁও বাজারের এসব সমস্যা নিয়ে কেউ আমাদের বলে না। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি, ইজারাদার কিংবা পরিষদের চেয়ারম্যান। অথচ উপজেলায় এসব বিষয়ে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রয়েছে। আমি এ বিষয়ে পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে ডাস্টবিন স্থাপন এবং পরিস্কারের জন্যে ব্যবস্থা নিব।
গুইমারা প্রতিনিধি :: : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
রামু প্রতিনিধি : : বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননী...বিস্তারিত
রাউজান প্রতিনিধি : : রাউজানে পুকুরে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ রামিম (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হ...বিস্তারিত
মীরসরাই প্রতিনিধি : : মিরসরাই উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে তিনটি বসতঘর পুড়ে গেছে। বুধবার (৫ অক্টোবর) রা...বিস্তারিত
পেকুয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়ায় কেয়া ডেন্টাল কেয়ারে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। বুধব...বিস্তারিত
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : : সীতাকুণ্ডের কুমিরায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। অবস্থা এমন যে একটি গ্রামের ঘরে ঘরে জ্বর। আর এসব জ্বর ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited